আমরা যারা সন্তান লালনপালন করি তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই বার্তা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ছয় মাসের পর থেকে বা হাঁটু হাঁটু পা পা বলার সাতে সাতে আমরা বাবা মা A for Apple B for Ball শেখাতে থাকি। যখন সে চলতে শুরু করে, তখন বই খাতা পেন্সিল এর আমদানি ততোই বাড়তে থাকে। আমরা জানিই না সন্তান বেড়ে ওঠায় আমরা কত খানি চাপ সৃষ্টি করছি।

সে এখন মা বাবার কোলে দৌড় ঝাঁপ খেলতে চাই।দাদু দিদার কোলে কোলে ঘুরে বেড়াতে চাই।সে পুতুল নিয়ে খেলতে চাই।সে প্রকৃতি পরিবেশের নীল আকাশ গাছ পালা দেখতে তার বেশ ভালো লাগে। তার এরকম অনেক কিছুই ভালো লাগে। আমরা বাবা মা তার সমস্ত ভালো লাগাটা বিসর্জন দিই।মা বাবার একটাই স্বপ্ন এখন থেকে ছেলেকে ডাক্তার হতেই হবে। মা এর ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। মায়ের কড়া মেজাজে শাসন ও চলে। এই তিন চার বছর বয়সে এক দু ঘা চড় চাপড় ও পড়তে থাকে। ছেলে কাঁদতে থাকে।

পাশে ঠাকুমা কান্না শুনে ছুটে আসে। বৌমা ও তো এখন ছোটো ছেলে, কেনও ওকে এত মারছ।দিনের পর দিন ছেলেটাকে মারছ একটা ঘরের মধ্যে থেকে আমি আর কত সহ্য করবো। দেখ বৌমা বড়ো হলে ও ঠিক পড়াশুনা করবে। ওকে এভাবে মেরো না। দেখুন মা, আপনাকে অনেক বার বলেছি, যে আমার ছেলের ব্যাপারে আপনাকে নাক না গলাতে। মা আপনি ওকে অনেক আদর দিয়ে বাঁদর তৈরি করতে চাইছেন।আমি সেটা কখনও হতে দেব না। মায়ের এই ধমকে ছেলে আর মায়ের কাছে আসতে চায় না। বাবা ছেলেকে কিছু বলে না। বরং আদর করে। তার সঙ্গে খেলা করে বাবার কোলে বসে চুপিসারে মাকে দেখে। আর ভয়ে দীর্ঘ্য শ্বাস ফেলে। কিনতু মায়ের কাছে ছেলে মোটেই আসতে চাই না।।মাকে ভীষন ভয় পায়। মা এর ভালোবাসা থেকে সে বঞ্চিত হতে থাকে।বাবা অফিস চলে গেলে মা আবার ছেলেকে কোলে নিয়ে আদর করে।মা যে ছেলেকে ভালো বাসেনা তা কিনতু নয়। ছেলেকে ভীষন ভালোবাসে।ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করা মায়ের খুব ইচ্ছে আর স্বপ্ন।তবে এখন থেকে কড়া হাতে শাসনে রাখতে চাই। এখন তার খেলার বয়স। মায়ের কাছে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। এখন থেকে ছেলের সময় যেন নষ্ট না হয় মায়ের লক্ষ্য সর্বদা সেদিকে। সব সময় ছেলেটার মধ্যে একটা ভয় ভয় ভাব লক্ষ্য করা যায়। শুধু মাত্র মাকেই ভয় করে। এর আগে তাকে অনেক বার ঝাঁকুনি দিয়েছে, মেরেছে, বকেছে, তাই সে মায়ের কাছে একেবারে আসতে চাই না।সে ঠাকুমার কাছে থাকতে চাই, ঘুমাতে চাই, মায়ের সেটা একেবারে পছন্দ নয়। ছৌ মেরে ঠাকুমার কোল থেকে ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। একই ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার উপর এত শাসন ঠাকুমা কোনো মতেই মেনে নিতে পারে না।ছেলের বয়স মাত্র চার বছর। মা এর শাসন আর পড়ার চাপ দুটোই বাড়ছে। সে পড়তে বসতে চাইনা। তাকে চাপ দিয়ে পড়ানো আর শাসনে তার স্মৃতি শক্তির অবনতি ঘটতে দেখা যায়।ছেলে যখন একটু একটু করে বড়ো হয় তার স্মৃতি শক্তি আসতে আসতে লোপ পেতে থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভয় ভৃতির কারণে হয়েছে। আর জোর করে তার উপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়া এটা হয়েছে তার মূল কারন। সে যখন মায়ের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে যায় তখন তার পড়াশুনাই দিন দিন আরও অবনতি হতে চলেছে।। তখনও মায়ের আশা ডাক্তার তোকে হতেই হবে বুঝেছিস। চল পড়বি চল। মায়ের এই আচরণ যেন মানসিক রোগীর মতো। বাচ্চা ছেলে যেখানে আদর পায় সেখানেই ছুটে যায়। যদি একবার বলে ফেলে মা ঠাকুমার কাছে যাবো? মায়ের একটায় উত্তর

দেখ সারাক্ষণ এই ঠাকুমা ঠাকুমা করবি না। মায়ের চেয়ে ফের মাসির দরদ বেশি। আজকাল এভাবেই চলতে থাকে বাবা মায়ের সন্তান লালন পালন। এতে হিতে বিপরীত হয়। ছেলে নিয়ে মা ঠাকুমার অশান্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে। পড়া আর পড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা কোনো অবকাশ নেই। এখানে আমাদের বুঝতে হবে, আমরা সন্তানের কত বড়ো ক্ষতি করছি। সারাক্ষণ পড়ার মধ্যে বসিয়ে রেখেছি। সে স্বাধীনতার বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরতে পারছে না। মায়ের এই কড়া শাসনে সব সময় তাকে দেখা যায় অন্নমনস্ক ভাব। তাকে করো সঙ্গে মিশতে পযন্ত দেওয়া হয়না। সে যখন আরও একটু বড়ো হলো মায়ের এক্তিয়ারের বাইরে চলে গেল। বাজে বাজে ছেলেদের সঙ্গে মিশতে শুরু করল। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা অনেক আড্ডা এত আনন্দ সে কোনোদিন আসা করেনি। মায়ের ভালোবাসা কী জিনিস সে কোন দিন পায়নি। ছেলে বড়ো হয়েছে তাকে আর শাসন করা যাচ্ছে না। রাতে কখন বাড়িতে আসবে সেটা এখন তার ব্যাপার। পড়াশুনা একেবারে উচ্ছনে গেছে। ছেলে মানুষের ব্যাপারে আমাদের মানসিকতা কোথায় পৌঁচেছে। এখন প্রতিটা বাড়িতে এটা লক্ষ্য করা যায়।

 

 

 

শিক্ষায় প্রতিযোগিতা আছে। সেটা সময়ের সাথে সাথে এগোতে হবে। আপনার ছেলে ডাক্তার অবশ্যই হবে।আপনার লক্ষ্য ঠিক আছে। মানসিকতা ঠিক নেই।এখানে টেনে বড়ো করার কিছু নেই। সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধিতে বুদ্ধি হবে। আপনার শিশুর প্রতি আজ থেকে যত্ন নেন ভালোবাসা দিয়ে। আপনার লক্ষ্য ঠিক আছে। অপেক্ষা করুন। ছেলের প্রতি বন্ধু সুলভ ভালোবাসা দেখাতে হবে। দেখবেন আপনার ছেলে আপনাকে বেশি করে চিনবে। মা বাবার থেকে ভালো বন্ধু একটা সন্তানের কাছে এর থেকে বড়ো কিছু আর হতে পারে না। আমরা বাবা মা আমাদের যেমন সম্মান আছে। ওদেরও সম্মান আছে।আমরা যেমন ওদের কাছে কিছু আশা করি। ওরাও আমাদের কাছে আশা করে। ভালো বাবা মা হলে সে ছেলে কোন দিন খারাপ হতে পারে না। সে ভাববে আমার বাবা মা আমার সবচেয়ে বড় আপনজন। একটা ছেলেকে লালনপালন করতে বাবা মায়ের অনেক কষ্ট।সেই ছেলে যদি বে পথে চলে যায়। সেই বাবা মায়ের যে কত খানি যন্ত্রনা সেটা এক মাত্র তারাই অনুভব করে।সবাইকে ভালোবাসবেন।আর নিজে ভালো থাকবেন। নমস্কার।

This is my message to those of us who raise children. From six months after the birth of the child, we parents teach A for Apple B for Ball. When he starts walking, the import of books, notebooks and pencils increases. He runs and jumps in his mother’s lap. I want to play. I want to walk around in my grandfather’s lap. I want to play with dolls. I want to see the nature, the environment, the blue sky. He likes many things. A mother’s love is not expressed. He was disciplined with a strict hand. He started slapping her. He heard the grandmother crying. Grandma came running and now she is so small. When she grows up, everything will be fine. Mother, you are making her a monkey by loving her. Son and mother. don’t want to come She is deprived of her mother’s love. She wants to stay with her grandmother. She doesn’t like that at all. Cho Mere comes from the grandmother’s lap again. The boy is only three years old. Both the mother’s discipline and the pressure of studying are increasing. You must be a doctor. You understand. Let’s read, let’s go. Grandmother, grandmother, don’t do it. Auntie is more affectionate than mother. It continues like this. Mother and grandmother are in turmoil with their son. There is no rest from morning to evening to read and study. Here we have to understand what we want. Where is our mentality reaching. Now it can be observed in every house. There is compitition in education. It has to move with time. Your son must be a doctor. Your goal is right. Mentality is not right. There is nothing to grow up. Be wise in growth. Take care of your baby from today. You have goals. Wait. .The doctor must be. Thank you. Everyone stay well stay healthy. Greetings.