আমির এক দরিদ্র রিক্সাওয়ালার।তার তিন ছেলে। অনেক কষ্টকরে ছেলেদের খাইয়ে পরে মানুষ করেছে।বাবা অল্প পড়াশুনা করে সে আজ রিকশা টানছে।সে চাইনা তার সন্তানরা রিকশা টেনে খায়।তিনি পড়াশুনা কে খুব ভালো বাসে।আমিরের দুর্ভাগ্য ছেলেরা পড়াশুনা করলনা।অনেক চেষ্টা করল ছেলেরা পড়াশুনায় উন্নতি করতে পারল না।একদিন তারা তাদের মাকে ডেকে বলল আমাদের দ্বারা পড়াশুনা হবে না।আমিরের অনেক বড়ো স্বপ্ন ছিল তার ছেলেরা পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক।আমিরের স্বপ্ন এখানেই থেমে গেল।ওরা কি করবে আমিরকে ভাবাতে শুরু করল।একদিন কলকাতায় এক দুর সম্পর্কে মামার কাছে দুটি ছেলেকে রাজমিস্ত্রির কাজে পাঠিয়ে দিল।আমিরের বন্ধু অনন্ত দীর্ঘ দিন প্যারালাইসিস হয়ে পড়ে আছে।আগে রিকশা চালাতো।তার ছেলে পড়াশুনায় খুব ভালো।আমির নিজের ছেলের কথা আর না ভেবে,অনন্তর ছেলের পড়াশুনার সমস্ত দায়িত্ব সে কাঁধে তুলে নেয়।আমিরের তৃতীয় ছেলে সাকিব ক্লাস সেভেনে দু বার ফেল করেছে। পরীক্ষায় কিছু না লিখে সাদা খাতায় জমা দিয়ে আসে। স্কুলের মাস্টার মহাশয় আমিরকে ডেকে পাঠায়।ছেলের পরীক্ষার সাদা খাতা দেখে আমির অপমাণিত লজ্জিত হয়ে বাড়ি ফিরল।বাবা আর বিলম্ব না করে ছোটো ছেলে সাকিবকে কলকাতায় ভাইদের কাছে রাজমিস্ত্রীর কাজে পাঠিয়ে দেয়।সাকিবের বয়স তখন ১৩ বছর।

সাকিব কলকাতায় ভাইদের কাছে এক মাস কাজ করার পর,ভাইদের কাউকে কিছু না বলে সাকিব সোজা ট্রেনে চেপে বাড়ি চলে আসে।এরা দুই ভাই সাকিব কে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় অলিতে গলিতে খুঁজে বেড়ায় খুঁজে আর পাইনি।তখন মোবাইল ফোনের চল এত ছিলো না।পাশের বাড়ি ইমরান কাকাদের ল্যান্ড ফোন ছিলো।কিন্তু ভাই কলকাতায় হারিয়ে গেছে এ কথা মা বাবা কে কি করে বলবে।পুলিশ কে ও জানতে পারছেনা। ওই দিন সন্ধ্যায় সাকিব দেশের বাড়িতে ফিরে আসে।বাবা মায়ের সাথে কোনো কথা বলে না। ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে সারা রাত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়।

পরদিন সকালে সবার আগে স্কুলে গিয়ে উপস্থিত।শিক্ষক মহাশয়কে অনুরোধ করে,স্যার আমি পড়াশুনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই।আমার পড়াশুনায় খুশি না হয়ে বাবা মা আমাকে কোলকাতায় দাদাদের কাছে রাজমিস্ত্রির কাজে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলো।আমি এ কাজ করতে চাই না। স্যার আমি পড়াশুনা করতে চাই ।আমি ভালো রেজাল্ট ও করতে চাই। প্রধান শিক্ষক তার কথা রাখলেন।যে সাকিব ক্লাস সেভেনে পর পর দু বার ফেল করে ছিলো সেই সাকিব প্রতিদিন নিয়ম করে 10 -12 ঘন্টা পড়াশুনা করে পরীক্ষায় একের পর এক সফলতা।তার যারা সহপাঠী ছিল তাদের কে পেছনে ফেলে একেবারে শীর্ষ স্থান দখল করে।ওই বছর প্রধান শিক্ষক মহাশয় এবং প্রশাসনিক অতিথিদের নিয়ে সাকিবকে সর্ব্বোচ সম্মানে তাকে সম্মানিত করা হয়। এরপর তাকে আর ফিরে চাইতে হয় না।একের পর এক সফলতা সে অর্জন করতে থাকে। অতি সাধারণ সাকিব আজ হয়ে ওঠেন ডক্টর সাকিব এম.বি.বি.এস (কল) এমডি।শিশু ডাক্তার। সাকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।গুরুজনেরা প্রায় বলে থাকেন চেষ্টা বিফলে যায় না।

 

Three sons of a poor rickshaw puller. The father sent the first and second sons to work as masons in Delhi. The third son, Shakib, failed three times in class seven.

 

The father also sent his younger son Shakib to work as a mason in Delhi. After working for a month, Shakib got on the train without saying anything and came straight home.

 

The next day, Shakib went to school and requested the teacher, Sir, I want to study and become a human being. The headmaster kept his word.

 

Then Shakib doesn’t have to look back. Success in one class after another. Super ordinary Shakib becomes Dr. Shakib MBBS (Coll) MD (paediatrics).